ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের আর্থিক সহায়তায় সোসাইটি ফর হেলথ এক্সটেনশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট (শেড) এর বাস্তবায়নে জালিয়াপালং ও রাজাপালং ইউনিয়নের লাইভলিহুড প্রকল্পভুক্ত হতদরিদ্র ২৩৩ জন উপকারভোগীর মাঝে শর্তযুক্ত আয় বৃদ্ধিমূলক কর্মকান্ডের জন্য নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার (৯ অক্টোবর) উখিয়া উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে এ নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। নগদ সহায়তার মধ্যে গরু-ছাগল পালনকারী ৬৮ জন পেয়েছেন জনপ্রতি ১৮ হাজার টাকা ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ৫০ জন পেয়েছেন জনপ্রতি ১৫ হাজার টাকা করে এবং ১১৫ জন ইলেকট্রনিক মেকানিক পেয়েছেন জনপ্রতি ১২ হাজার টাকা করে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান হোসাইন সজিবের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী।
এনজিও শেড এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার আবুল কালামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উখিয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আল মাহমুদ হোসেন, উখিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাঈদ মুহাম্মদ আনোয়ার, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের কক্সবাজার এসিও’র সিনিয়র ম্যানেজার রোনাল্ড প্রভীর চিসিক।
এসময় বক্তারা বলেন, সরকারের পক্ষে কোনো উন্নয়নমূলক কাজ একা করা সম্ভব নয়। সরকারের পাশাপাশি যেসব বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কাজ করছে তাদের মধ্যে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ও শেড অন্যতম। এই সকল মহৎ কাজের জন্য তাদের ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানাই।
বক্তারা উপকারভোগীদের উদ্দেশ্য বলেন, আজকের প্রাপ্ত অর্থ নিজেদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার লক্ষ্যে এ অর্থ কাজে লাগাবেন। এ অর্থ কাজে না লাগালে কয়েকদিন পর খরচ হয়ে যাবে। এতে নিজেদের বা পরিবারের ক্ষতি নিজেরা করবেন।
সুতরাং, আপনারা এ টাকা দিয়ে গরু-ছাগল হাস মুরগি পালন, ক্ষুদ্র ব্যবসা সহ লাভজনক ব্যবসার কাজে ব্যবহার করে নিজেরা স্বাবলম্বী হবেন সেটি প্রত্যাশা।"
বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা শেডের এরিয়া ম্যানেজার আবুল কালাম জানান , দারিদ্র বিমোচন আত্মসামাজিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে, পেশা ভিত্তিক দক্ষতা বৃদ্ধি মূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। পরে জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে প্রত্যেক পরিবারকে ইউপিজি মডেলের নিয়ম অনুযায়ী গবাদি পশু সহ ব্যবসার মালামাল ও অন্যান্য উপকরণ বিতরণে নগদ অর্থ সহায়তা বিতরণ একটি যুগান্তকারী কর্মসূচি।
উখিয়া এরিয়া প্রোগ্রামের অধীন পরিচালিত লাইভলিহুড প্রজেক্ট এর আওতায় রাজা পালং ও জালিয়া পালং ইউনিয়নের ২৩৩ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবক ও মহিলাদের মাঝে হাঁস, মুরগি, গরু-ছাগল পালন ও ক্ষুদ্র ব্যবসা এবং ইলেক্টনিক্স সার্ভিস প্রদানের জন্য ৩৩ লাখ ৫৪ হাজার নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে । তৎমধ্যে গরু পালন কর্মসূচিতে প্রতিজনকে ১৮ হাজার টাকা করে ৬৮ জনকে ১২ লাখ ২৪ হাজার টাকা, ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য প্রতিজনকে ১৫ হাজার টাকা করে ৫০ জন কে ৭ লাখ ৫০ হাজার ও ইলেকট্রনিক্স মেকানিক্স প্রতিজনকে ১২ হাজার টাকা করে ১১৫ জনকে ১৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।